চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে সংবাদ সম্মেল

0
109

রুপসীবাংলা ৭১

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৭ আগস্ট ২০২২ রোজ রবিবার সকালে ১১ ঘটিকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি/ হলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে নির্বাচন ইশতিহারের ব্যবস্থাপনা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজক চাকরি প্রত্যাশী যুবক প্রজন্ম বাংলাদেশ

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত যুব সমাজ বিগত এক যুগ ধরে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের গঠনমূলক ও যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছে। কোডিড-১৯ এর আঘাতে সকল বয়সী শিক্ষার্থীরা ২ বছরের

অধিক সময় হারানোর পর বর্তমান যুব প্রজন্ম সাংবিধানিক অধিকার ‘সুযোগের সমতা বঞ্চিত হয়ে আবারও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট। এই প্রক্রিয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট খোলা চিঠি প্রদান করা হয়েছে; তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জনাব গাজি লিকুর মাধ্যমে ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে এবং টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জে গিয়ে জনাব শেখ সেলিমসহ শেখ পরিবারের সদস্যবৃন্দের সাথে স্বশরীরে আলোচনা করা হয়েছে। চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম এখন অবধি এমন কোন প্রকার আন্দোলন সংগ্রাম তথা কর্মসূচীতে যায়নি যাতে রাষ্ট্র ও সরকারকে বিব্রত হতে হয় বা জনজীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

২০১৮ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার

উল্লেখ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ৪ বছর পেরিয়ে আর একটি নির্বাচন আসন্ন এমন সময়েও উক্ত ওয়াদা বাস্তবায়ন করেনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করা এই দলটি। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদে দলীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন কয়েক মাসের মধ্যেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হবে। পরে মিডিয়াতে একই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। করোনা ২ বছরের অধিক সময় কেড়ে নেওয়ার পর বয়সসীমা হারিয়ে ফেলা চাকরীপ্রত্যাশী উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষাধিক। নিত্তনৈমিত্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে সারা বাংলাদেশজুড়ে। জাতীয় সংসদে এখন অবধি ৭১ বার (মহামান্য রাষ্ট্রপতি, তৎকালীন স্পীকার জনাব আব্দুল হামিদসহ) বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিটি উত্থাপিত হয়েছে যার সাম্প্রতিক উদাহরণ জাতীয় পার্টির সাংসদ জনাব শামীম হায়দার পাটোয়ারীর ব্যক্তব্য।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়য়সীমা ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত হয় এখন থেকে ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে,

সেটাও অন্য সরকারের আমলে। তখন গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর আর এখন ৭৩। বিশ্বের ১৬২টি দেশে আমাদের চেয়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অধিক। বাংলাদেশের জাতীয় যুবনীতিতে যুবকের সংজ্ঞায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স বলা হচ্ছে আবার এখানে ৩০ বছরে আটকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ। শুধুমাত্র বিসিএস কোয়ালিফাই করার বয়সের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বয়সসীমার ৩১ বছরের অচলায়তন চলমান। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে নূন্যতম তিনটি বিসিএস পরীক্ষায় কম আবেদন করতে পারেন।

“নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন চাই, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই’ দাবীর অংশ হিসেবে আগামী

৭ই আগস্ট নিম্নোক্ত কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে যেখানে ঢাবি, রাবি, জবি, জাবি, চবি, ইবি, বাকৃবি, এবং সাত কলেজ, ঢাকা কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হবে মাননীয়

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে

মোঃ তানভীর হোসেন, আহসানুল বাবু, ফারহা জুবায়ের, শাওন সোমা, আসিফ হাসান, সাজিদ সেতু, রবিউল বনি, সঞ্জয় সরকার, আব্দুল গাফফার, মর্তুজা হাসান, মাহযুদ্ধ সনেট, পিন্টু সরকার, সানিয়া সুমি, রাজ্জাক হাবিব, জহিরুল জনি, কিশোর সাহা, আনোয়ার জনি, কামরুল হাসান, পার্থপ্রতীম পাল, জান্নাতুল ফেরদৌসি, রেজোয়ানা সুলতানা, মইনুল হোসেন, সোহেল শেখ, নাবিলা তিশা, এম রাজন, শ্রীসান প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে