বিশ্বনাথ মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিমের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

0
9


বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
সিলেটের বিশ্বনাথে জামেয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ এর মাদ্রাসার নামে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ৮ দফা দাবী উত্থাপন করেছে বিশ্বনাথ সংগ্রাম পরিষদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী উত্থাপন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও সাবেক মেম্বার আব্দুস শহীদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মাদানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম হাজী মুসলিম আলী স্বরপাঞ্চ, হাজী হাজী তোতা মিয়া, মরহুম হাজী তবারক আলীসহ এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিরা। তখন আশরাফ আলীকে শিক্ষক হিসেবে মাদ্রাসায় চাকরি দিয়েছিলেন তারা। আর এখন প্রতিষ্ঠালগ্নে যারা শ্রম ও রক্ত দিয়েছেন তাদের কারো নাম না লেখে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আশরাফ আলীর নাম লেখা হয়েছে। প্রতিবছর যুক্তরাজ্য থেকে কোটি কোটি টাকা যাতকাতের নামে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এগুলোর কোনো হিসাব নেই। মাদ্রসার এসব টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমান মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ ও তার ভাইয়েরা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। শুধু তাই নয় মুহতামিম মাদ্রাসার চারপাশে সরকারি অনেক জায়গা দখল করে দোকান কোঠা তৈরী করে বিক্রির মাধ্যমে বাণিজ্য করে আসছেন। এছাড়াও মাদ্রাসরা সামে সরকারি জায়গায় ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজীর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। শিব্ভির আহমদ ও তার বোনজামাই একটি নিরীহ ছাত্রকে খুন করে মাদ্রাসার কোটি টাকা দিয়ে আপোষ করেছেন। তারা বলেন, এসবের বিরুদ্ধে জনগন এখন সোচ্চার হয়েছে। এজন্য সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এই সংগ্রাম পরিষদ ৮ দফা দাবী উত্থাপন করে। তারা আরও বলেন, বিশ্বনাথবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা আমাদের দাবী ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বন্ধ পরিকর।  
তাদের দাবীগুলো হলো- (১) মাদ্রাসার প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতাদের নামে শ্বেত পাথরে খোদাই করে ফলক নির্মিত হউক এবং মাদ্রাসায় যারা নূন্যতম এক লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা হউক। (২) মরহুম আশরাফ আলীর নাম প্রতিষ্ঠাতা থেকে বাদ দেয়া হউক এবং তাহার কবর তাহার নিজস্ব জায়গাতে স্থানান্তরিত হউক। (৩) সাধারণ সভা আহবানের মাধ্যমে পারিবারিক ও যোগাযোগী শুরা কমিটি ভেঙ্গে নতুন শুরা কমিটি গঠন করা হোক। (৪) মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত মাদ্রাসার তহবিলের হিসাব জনসম্মুখে প্রচার করা হোক। (৫) দ্বীনি এই মাদ্রাসাকে ব্যবহার করে সরকারি সকল জায়গার উপর নির্মিত দোকানপাঠ ভেঙ্গে মাদ্রাসাকে কলংকমুক্ত করা হোক (৬) অবৈধভাবে দখলকৃত পশু হাসপাতালের জায়গা ফেরত দেওয়া হোক। (৭) খুনি ও অযোগ্য শিব্বির আহমদকে প্রিন্সিপালের পদ থেকে অপসারণ করা হোক। (৮) মাদ্রাসা ছাত্র মৃত সালমান আহমদ হত্যার বিচার পুনর্জীবিত করে খুনী শিব্বির ও তার সহযোগিদেরকে শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হাজী মৃত তবারক আলীর ছেলে আব্দুস শহীদ, ভাতিজা আব্দুল আলী ইংরেজ, বিশিষ্ট মুরব্বী মঞ্জুর আলী প্রমূখ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার মুহতাতিম শিব্বির আহমদ বলেন, কিছুক্ষণ পর আমি আপনাকে ফোন দিচ্ছি বলে ফোন রেখে দেন। পরে যোগাযোগ করা হলে আর তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।  

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে