এমন অভিযোগ এনে বুধবার দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর এলাকার চান্দশীরকাপন গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রামের মুরব্বী গোলাব খান (৭৫)।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এমপি মোকাব্বির খানের শশুর বাড়ি পশ্চিম চান্দশির কাপন গ্রামে। গ্রামের গোলাব খান ও তার শশুর বাড়ির লোকদের পৃথক ২টি কবরস্থান রয়েছে। উভয় কবরস্থানের যাতায়াতে কোন রাস্তা না থাকায় সায়েক আহমদের মধ্যস্ততায় উভয়ের জমির উপর দিয়ে কবরস্থানের রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেয়া হয়।
গোলাব খানের রাস্তা নির্মাণের জন্য গ্রামের ফারুক মিয়ার কাছে এখনও ১লক্ষ টাকা জমাও রয়েছে। ইতিমধ্যে মোকাব্বির খান গ্রামের ৫০০মিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করেন। এই রাস্তা গোলাব খান ও ইদ্রিস খানের জমির উপর দিয়ে নির্মাণ করার কথা।
সায়েক আহমদ ও নিজাম উদ্দিনের কু-পরামর্শে মোকাব্বির খান পাকা রাস্তা নির্মাণের পর কবরের রাস্তা দেয়া হবে। গোলাব খানের এমন চাপ সৃষ্টি হলে গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং আদালতে গোলাব খান মামলা দায়ের করলে রাস্তা নির্মাণের উপর গত ১৭ এপ্রিল ১৪৪ ধারা জারি হয়।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে শশুর বাড়ির লোকজনের কথা শুনে তিনি রাস্তায় কাজ করাচ্ছেন এমপি সমন্ধিক নিজাম উদ্দিন ও আত্মীয় সায়েফ আহমদ সায়েকের মাধ্যমে। এতে গোলাব খানের পক্ষে নিষেধ দিলে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ওমর খানকে বাসায় নিয়ে হুমকি দেন এমপি মোকাব্বির।
এখন সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির খানের বেআইনি কর্মকার্ন্ড ও দূর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির কথা চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তারা আরও বলেন, এমপি মোকাব্বির খান তাঁর শশুর বাড়ির ধনী লোকদের ৫টি গভীর নলকুপ ও প্রধানমন্ত্রীর গরিব লোকদের দেয়া খয়রাতির অর্থ শশুর বাড়ির লোকজনদের মাঝে বিতরণসহ চরম দুর্নীতি ও প্রতারনামুলক কর্মকান্ড করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাব খান এমপি মোকাব্বির খানের দুর্ণীতি ও বেআইনি কর্মকান্ডের তদন্ত ক্রমে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানান।
এসময় আরও বক্তব্য দেন, পার্শ্ববর্তি গ্রামের মুরব্বী ওয়ারিছ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন, পৌর বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান খালেদ, এমপির শ্যালক জুনেদ আহমদ, গ্রামের মুরব্বী আব্দুস সালাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামের মুরব্বী হারুন মিয়া, ইব্রাহিম খান, নিম্বর আলী, কাউসার আহমদ নাঈম, মো: নুরুল খান, আওয়ামী লীগ নেতা নিখিল কুমার পাল, সংগঠক দিলু মিয়া, মো: মুমিন খান, মোরশেদ খান টিপু, ওমর খান, নাহিদ খান, অমি খান, মাহফুজ খান, শানুর খান, নাঈম খান, আব্দুস সালাম, জামাল মিয়া, জাকির খানসহ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন।