‘নিহত শিক্ষক দম্পতির ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত’

0
77

রুপসীবাংলা ৭১

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে নিহত সেই শিক্ষক দম্পতির ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন জানান, গতকাল বিকেলে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনের ফুসফুস ও কিডনিতে প্রায় একই রকম লক্ষণ পাওয়া গেছে। তাদের প্রত্যেকের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া। এটা সাধারণত খাবারে বিষক্রিয়া কিংবা অন্য কোনো কারণেও হতে পারে। এছাড়া শরীরের অভ্যন্তরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে এ চিহ্ন নতুন না পুরাতন তা পরীক্ষা নীরিক্ষার পর জানা যাবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে নমুনা ঢাকার সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে

এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। নামাজে জানাজা শেষে শিক্ষক দম্পতিকে তাদের গ্রামের বাড়ি দাফন করা হয়েছে।

গতকাল ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেকে প্রাইভেটকারের ভেতরে এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও মাহমুদা আক্তার জলি (৩৫) দম্পতির লাশ পাওয়া যায়। জিয়াউর গাজীপুরের টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাহমুদা টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

খাবারে বিষ মিশিয়ে এই দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহমুদা আক্তার জলির বোন তাহমিদা আক্তার ইমা এ দাবি করেন। উত্তরার নসট্রাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দুলাভাই ও বোনকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। দুলাভাই বাইরের কিছু খেতেন না। অতি আপনজনের কেউ তাকে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়েছে।’

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ওসি নন্দলাল চৌধুরী বলেন, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শিক্ষক দম্পতির লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মামলা করা হয়নি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন জানান, বিকেলে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দুজনের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে। এটা খাবারে বিষক্রিয়া বা অন্য কারণেও হতে পারে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে