প্রকাশিত: ১০. আগস্ট. ২০২২ | বুধবার

রুপসীবাংলা ৭১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১০ আগস্ট, ২০২২ইং বুধবার সকাল ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ন্যাশনাল পিপলস্ধসঢ়; পার্টি (এনপিপি) ও এর নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট
(এনডিএফ)’র চেয়ারম্যান জাতীয় নেতা আলহাজ্ব শেখ ছালাউদ্দিন ছালু’র সভাপতিত্বে ন্যাশনাল পিপলস্ধসঢ়; পার্টি (এনপিপি) ও এর নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)’র উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও
বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, আজ ১০ আগস্ট শোকের মাস। জাতির এই ক্লান্তি লগ্নে আজ আমরা মানববন্ধনের মাধ্যমে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দাড়িয়েছি। সিমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করছে পর্দার আড়ালে থাকা কিছু ব্যক্তি। যার একজন হল জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি কুইক রেন্টাল এর তত্ত্ব আবিস্কার করেছে। ২০১০ সালের প্রেক্ষিতে কুইক রেন্টাল দরকার ছিলো এবং সেই চুক্তি ছিল ৩ বছরের জন্য কিন্তু সেই চুক্তি এখনো বর্তমানে আছে। আরো নতুন নতুন কুইক রেন্টাল এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা সরকার প্রদান করেছে। এই ৭৫ হাজার কোটি টাকা দশটি কোম্পানিকে প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কোম্পাানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রদান করেছে যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি। জনগণের কষ্টে অর্জিত টাকা এই পর্দার আড়ালে থাকা তৌফিক-ই-ইলাহী সাহেবেরা এ কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে লুটপাট ও দূর্ণীতি করেছে এর বিচার হওয়া দরকার।
তিনি আরো বলেন, আপনারা গতকাল পত্রিকায়, খবরে দেখেছেন সাত দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এর প্রধান সমন্বয়কারী আ স ম আব্দুর রব। উনি স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী কিন্তু উনি সামরিক জান্তাকে গণতন্ত্রের লেবাস দিয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে ৬৯ দল নিয়ে বিরোধী দল গঠন করেছে। তখন থেকেই একজনের এক পার্টি তৈরী করেছে তার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। আপনারা জানেন আর একটি মঞ্চ ছিলো “গণজাগরন মঞ্চ”। তার নেতা ছিলো ইমরান এইচ সরকার। এখন দূরবীন দিয়েও খুজে পাওয়া যাবেনা। নির্বাচন আসলে যুক্তফ্রন্ট, ঐক্য ফ্রন্টের উদ্বভ ঘটে কিন্তু নির্বাচন শেষে খুজে পাওয়া যায় না। ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) ২০১৫ সালে সৃষ্টি হয়েছে তা এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
শেখ ছালাউদ্দিন ছালু আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ চুম্বি, মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত জনগণ অতিষ্ঠ। জ্বালানী তেল এমন একটি পণ্য যার প্রভাব প্রতিটি পণ্যের উপর পড়বে। মানুষের যাতায়াত ভাড়া নৈরাজ্যের চাপে মধ্যবিত্ত মানুষগুলো আজ অসহায়। সারাদেশে আওয়ামী-লীগের বড় বড় নেতারা ও শিল্পপতিরা এবং সরকারী আমলারা গোপনে ডলার কিনে জমা রাখছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডলারের সংকট। এখন ৯৫ টাকার ডলার ১১৫ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য ডলার পাচ্ছে না। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দাবী করছি। এত দিন বলেছেন ডলারের কোন সংকট নেই বাংলাদেশে, শ্রীলঙ্কার মত হবে না। এখন আইএমএফ এর প্রেসক্রিপসন অনুযায়ী জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন এবং আইএমএফ এর কাছে লোন পাওয়ার জন্য ছুটা ছুটি করছেন।
পরিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবদেন করে তিনি বলেন, আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং আমরা জানি আপনি সৎ মানুষ, কিন্তু বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ক্ষেত্রে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের দ্রæত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহারের আহবান জানাই।
এনপিপি’র চেয়ারম্যান এর রাজনৈতিক উপদেষ্টা সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীর এর পরিচালনায় এনপিপি ও এনডিএফ কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে আরো বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)’র মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই মন্ডল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সভাপতি ও এনডিএফ এর সদস্য সচিব এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু), ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই সরকার, এনপিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান দেওয়ান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, এনপিপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব ও ন্যাশনাল পিপলস স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি মোঃ এমাদুল হক রানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহাম্মেদ, এনপিপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির সভাপতি ইঞ্জি: কে এম শামছুল আলম মিশুক, ন্যাশনাল পিপলস্ মহিলা পার্টির সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার (নীলা মল্লিক), ন্যাশনাল পিপলস শ্রমিক পার্টির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস্ ওলামা পার্টির আহবায়ক মাওলানা মুহাম্মদ লোকমান প্রমুখ।