রুপসীবাংলা ৭১

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দফায় দফায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন, প্রেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়বে জনজীবনে। বাড়বে গণপরিবহন ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দাম। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে জ্বলবে শ্রমজীবী ও কম বেতনের চাকরিজীবীরা। কারণ পণ্য মূল্য বৃদ্ধি ব্যয় আরো বাড়বে। সংসার চালাতে মাসে হিমশিম খেতে বাধ্য হবেন তারা। জ্বালানি তেলের উত্তাপে পুড়বে সাধারণ মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

শনিবার (০৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।তারা বলেন, ডিজেল-কেরোসিন-পেট্রোল-অকেটেনের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে বাড়বে পরিবহন ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বাড়বে মূল্যস্ফীতি। ফলে মধ্য ও নিম্নবিত্তের জীবন ধারণ ব্যয় বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর মধ্যে সার-ডিজেল-কেরোসিনের প্রতি লিটারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জ্বালানি, কৃষিকাজ ও গণপরিবহনে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

গণপরিবহন মালিকরাও ভাড়া বাড়াবেন। পণ্যপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের এবার লাগাম ছিঁড়বে। এভাবে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেলে সব চাপ গিয়ে পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।নেতৃদ্বয় আরো বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন যখন অতিষ্ঠ, ঠিক সেই মুহূর্তে সকল প্রকার জালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি আত্মঘাতী ও জনবিরোধী। এমনিতেই নিত্যপণ্য ঊর্ধ্বমূল্যে কিনতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে মারাত্মক চাপে ফেলবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ‘মড়ার ওপর অনেকটা খাঁড়ার ঘা’র মতো।

তারা বলেন, অযৌক্তিকভাবে দেশে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। তার ওপর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জীবন আরো কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারকে ব্যবসায়িক দৃষ্টি দিয়ে নয়, সেবার মনোভাব নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে।ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ব্যয় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে সকল পরিবহন ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিবে। ডিজেল-কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি, যে প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে তা সম্পন্ন বেআইনি এবং কোনো বিবেচনাতেই তেলের দাম বাড়ানো গ্রহণযোগ্য নয়।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রায় সব মানুষেরই নাভিশ্বাস উঠেছে জীবন চালাতে। সংসার চালাতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। তাই নিত্যপণ্যের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবন চরম সংকটে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান সরকারের প্রতি।তারা বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের টিকে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। সেখানে এভাবে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জায়গাটা দুর্বল এবং আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং করে দেয়া হলো। তার পরিণতি অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিবেচনা, কোনো বিবেচনাতেই গ্রহণযোগ্য বলা যায়না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *