বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

0
88

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল মানবিক গুণসম্পন্ন মোহাম্মদ নাসিমের অভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুভব হবে: আব্দুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সাবেক সদস্য ও ১৪ দলের সাবেক মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আমাদের অস্তিত্বে ও মননে মরহুম মোহাম্মদ নাসিম’ শীর্ষক স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার বিকাল ৩ টায় (৬ জুলাই ২০২২খ্রিষ্টাব্দ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন এ কর্মসূচির আয়োজন  করে সিরাজগঞ্জ পেশাজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, মোহাম্মদ নাসিম পদের নয়, জনগণের নেতা ছিলেন।

তিনি যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন সেখানেই সফলতা দেখিয়েছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। তিনি বলেন,  মোহাম্মদ নাসিম আজীবন দল ও মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি যেমন সফল রাজনীতিবিদ ছিলেন তেমন আপাদমস্তক একজন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তাঁর অভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুভব হবে। মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তার সাথে দেখা করতে আসতেন। সবার সমস্যা সমাধানে তিনি চেষ্টা করতেন।আব্দুর রহমান বলেন, পদ পেলেই কেউ নেতা হয় না। জনগণ ও নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় একজন মানুষ নেতা হয়। মোহাম্মদ নাসিম তেমনই সকলের ভালোবাসার নেতা ছিলেন। তিনি তার সুযোগ্য সন্তান জয়কে (প্রকৌশলী তানভীর শাকিল) খুবই স্নেহ করতেন। জয় তার বাবার হয়ে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।

তখন দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে সর্বহারা পার্টির সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিল। নেত্রীর দেয়া দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তিনি সফলতার সাথে এ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন সেখানেই সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি আজীবন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে জীবিত থাকবেন।’আলোচনা সভার মুখ্য বক্তা প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, আমার বাবা সিরাজগঞ্জের প্রতিটি মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন। তাদের সাহস, আস্থা ও ভালবাসার মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি মন্ত্রী-এমপি নয় সকল নেতাকর্মীদের প্রিয় নাসিম ভাই হিসেবে বেঁচে ছিলেন। তিনি নেতাকর্মীদের সকল ন্যায্য কাজ ও সহযোগিতায় সব সময় এগিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। করোনার সংক্রমণের ভয়াবহ মূহুর্তেও তাকে ঘরে রাখা যায়নি। লকডাউনের মধ্যেও তিনি তার মানুষের জন্য ছুটে গেছেন। আর সেই মহামারির সংক্রমণেই তিনি মৃৃত্যুুবরণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের কল্যাণে জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের অবদান অনেক। কমিউনিটি ক্লিনিক, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ, ম্যাটস  প্রতিষ্ঠাসহ স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যে কাজ করেছেন তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। বিএসএমএমইউর বাজেট বৃদ্ধিতে তিনি গুরুপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৪ দলের নেতা হিসেবে তিনি সফলতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময় দেশে মোবাইলে কল করলেও ৩২ টাকা লাগত আবার কল রিসিভ করলেও  ৩২ টাকা লাগতো। তিনি দায়িত্ব নেবার সেটি জনসাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে এসেছেন। মোহাম্মদ নাসিম তাঁর কাজের মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

তাঁর সব ভালো কাজই সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে বলে আমি মনে করি।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য  (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন,  সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, হেপাটোবিলিয়ারি , পেনক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ  মোহছেন চৌধুরী, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু প্রমুখ। সম্পাদনা: সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব ও সুব্রত বিশ্বাস। ছবি: মোঃ আরিফ খান। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার  ও  সুব্রত মন্ডল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে