নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৪ বছরের কিশোরীকে উক্তাক্ত করার প্রতিবাদে ভাষানটেক মজুমদারের মোড় ১ নং বস্তিতে ইয়াবা ব্যাবসায়ী ইমনের হামলায় ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুড় আহত ১০ ৭জুন ২০২২ আনুমানিক ৭টায় ভাসানটেক ধানাথীন মজুমদারে মোড় ১ নং বস্তিতে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যাবসায়ী সন্ত্রাসী মোর্শেদা ও তার পুত্র ইমনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী আক্রমন চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অনেকে আঘাত করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। হামলার সময় অনেকের বাড়ীঘর রাম দাও দিয়ে কুপিয়ে বিধস্ত করে। উক্ত বিষয়ে ভাসানটেক থানায় ৭ জন আসামীর নামে মামলা হলে ৩নং আসামী মোর্শেদা ও ৬ নং আসামী মোঃ জীবন গ্রেফতার হয়। ১নং আসামী সহ বাকী ৫ আসামীকে গ্রেফতার করা না হলে যেকোন সময় আবারও হামলা চালাতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। হামলার সুত্রপাত ১৪ বছর বয়সী আঞ্জুমান কে নিয়ে। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য-মেয়ের বাবা,ভাই এবং আত্মীয়দের ইয়াবা ব্যাবসায় জড়াতে না পেরে ঘটনার দিন ১৪ বছরের কিশোরী আঞ্জুমানরাকে দোকানে উক্তাক্ত করে আসামীরা। বিষয়টি আঞ্জুমানারার ভাই প্রতিবাদ করলে আসামীরা তাদের দলবল নিয়ে এসে তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন বলে জানান। এলাকা পরিদর্শন ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায় মোর্শেদা ও তার ছেলে ইমন এলাকার চিহ্নিত মাদক ইয়াবা বিক্রেতা। তাদের নামে রাজধানীর সুত্রাপুর,পল্ববী ও ভাসানটেক থানায় মার্ডার মামলা ও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে বস্তির দায়িত্বে থাকা রতন চেয়ারম্যান এবং সংরক্ষিত মহিলা কমিশনার শিলা’র সাথে কথা বলে জানাযায় ঘটনা সত্য। এলকায় মাদক ব্যাবসা এবং মানুষের মনে ভীতি সৃস্টি করে ইয়াবা ব্যাবসায় বস্তির উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের বাধ্য করা হয়।বস্তিতে হামলার ঘটনার খরব পেয়ে তারা থানায় অছি সাহেবের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালে থানার অছি তৎক্ষনিক মামলা নেয় এবং দুজন আসামী গ্রেফতার করে বলে জানায়,অনতিবিলম্বে অন্য আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে তার আবাও হামলা চালাতে পারে বলে জানান। আসামী পক্ষের কেহ সামনে না আসায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি এবং স্থানীয় কমিশানার না থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। ভাসানটেক থানায় মামলার স্মরক নং-২৩৯১৫,মামলা নং-০৫/১৪৫,তারিখ-০৮/০৬/২০২২,ধারা-১৫৪। উল্লেখ যে, আসামী মোর্শেদা ও তার ছেলে ইমন পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে বেশকিছুদিন এলাকা ছাড়া ছিলেন। ০৬ মাস আগে এখানে এসে মাদক ব্যাবসা আবার শুরু করে এবং বস্তির উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কব্জায় নেওযার চেষ্ট করে। এলকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তারা পারিবারিক সুত্রেই মাদক ব্যাবসা করে। মোর্শেদার স্বামীর নাম আসরাফ আলী ও শ্বশুড় এর নাম মোঃ ওবায়দুল। মোঃ ওবায়দুলের ছেলে আশরাফ আলী, আশরাফ আলীর ছেলে ইমন এভাবে ঐ পরিবার সিরিয়ালী মাদক ব্যাবসায় জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা।