বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলন চলমান থাকলেও তা সরকার পতনের মতো শক্তিশালী নয়। আন্দোলনের গতি ও শক্তি বাড়াতে হবে। সরকার হটানোর আন্দোলনের রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত। যেকোনো দিন এটি জাতির কাছে উপস্থাপন করা হবে।আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশ আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: সংকটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বৃহস্পতিবার অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির বিভিন্ন পর্যায়ের ২১৫ জন নেতা একযোগে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারী নেতারা আজ আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগ দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিভিন্ন দলের নানামুখী চিন্তা থাকতে পারে। তবে সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ সবাইকে দ্রুত ঐক্যবদ্ধ করছে। জাতীয় ঐক্যের ভাবনা চলমান। শুধু বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করলে হবে না, সংসদও ভেঙে দিতে হবে। আন্দোলনে আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। এই সরকার চলে গেলে পুলিশই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বাধ্য হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যেনতেনভাবে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। বিদেশি শক্তিরাও এখন লজ্জিত। এক দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব মানে দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকে না, এটি তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে। দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প ৫০০ কোটি খরচ করা হচ্ছে। ঋণের টাকা, সুদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করলে কীভাবে চলবে?
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিও ভালো ছিল। ক্ষমতাশীলদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশটির এখন এমন অবস্থা। শ্রীলঙ্কার ঘটনার পেছনের বাস্তবতা বাংলাদেশেও বিরাজমান। শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন।’সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, বর্তমানের সরকারের বিরুদ্ধে একটি ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। এই ঐকমত্যকে এক মঞ্চে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে।