উপমহাদেশের দুই বাংলার বন্ধুত্ব সৃষ্টিকারী চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং বঙ্গবন্ধুর একান্ত ভক্ত সত্যজিৎ রায়ের ১০০তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আজ ৯ মে ২০২২ সকাল ১০.৩০ টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ, গোলটেবিল মিলনায়তন ঢাকায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদুত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক।
আলোচনায় অংশ নেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি নাহিদ রোকসানা, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ নাগরিক ফোরাম, সভাপতি, শহিদুন্নবী ডাবলু, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আসম মোস্তফা কামাল, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষনে অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন উপমহাদেশের দুই বাংলার বন্ধুত্বসৃষ্টিকারী সত্যজিৎ রায় পূর্ব বাংলার লোক। তিনি ছিলেন তিকন বুদ্ধির অধিকারী তার পরিচালনায় যে সব চলচিত্র উপমহাদেশে তৈরী হয়েছিল সেই সিনেমার আদলে বিশ্বের কাছে খ্যাতি অর্জন করেছে এবং অস্কার পুরস্কার পেয়েছে। বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল বিজয়ের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদেরকে বিশ্বেরকাছে পরিচয় ঘটিয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় ঘটিয়েছেন।
একই ভাবে সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কারের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে বিশ্বের কাছে পরিচয় ঘটিয়েছে। আসুন আমরা আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল শক্তির ঐক্যের মাধ্যমে দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি, ঘুষ, টাকা পাচার বন্ধ করি এবং দেশকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, খুদা দারিদ্রমুক্ত উন্নত পরিবেশের বাংলাদেশ গড়ি। যার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দ্দী, মওলানা ভাসানী, বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল, কবি জীবনানন্দ দাস ও সত্যজিৎ রায়ের উন্নত পরিবেশের দেশ গড়ি।