সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে বিএইচপির গভীর শোক

0
70

নিজস্ব প্রতিনিধি:-সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি। বিএইচপি এক শোক বার্তায় জানায়, আবুল মাল আবদুল মুহিত নিঃসন্দেহে একজন কীর্তিমান পুরুষ। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হলে জনাব মুহিতকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ১০ বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মহান স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে নিজ অবস্থান স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসের প্রথম কূটনীতিবিদ হিসেবে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন জনাব মুহিত। তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে গঠিত মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেলরের দায়িত্ব পালেন করেন। আবদুল মুহিত ১৯৮৪-৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দেশের অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ, পরিবেশ সুরক্ষা, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর ও পরিবেশবান্ধব পার্ক তৈরিতে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। ২০১৫ সালের ১৬ জুন সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি তার নামে নামকরণ করা হয়।

প্রজ্ঞাবান বইপ্রেমী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন বিশিষ্ট লেখক ছিলেন। ‘স্মৃতি অ¤øান ১৯৭১’ গ্রন্থসহ তিনি ২১টি পুস্তক রচনা করেন। তার গ্রন্থগুলো প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কীয়। জনাব মুহিত তার দুস্পাপ্য গ্রন্থের প্রিয় পাঠাগারটি আগলে রেখেছিলেন মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত।

এমন একজন জ্ঞানী ও গুণি মানুষের প্রয়াণে শোক জানিয়ে বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি বলেছে, জনাব মুহিতের মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন বিশিষ্ট গুণিজনকে হারিয়েছে। তার অভাব পূরণ হবার নয়। বিমর্ষ চিত্তে বিএইচপির চেয়ারম্যন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও মহাসচিব, ড. সুফি সাগর সামস্ এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে