নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লাগামহীন লোভই রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পেছনে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করা হলে একসঙ্গে এত শ্রমিকের প্রাণ যেত না। ভবিষ্যতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সরকারকে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির নয় বছর পূর্তিতে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ সব কথা বলেন।তারা রানা প্লাজা ধসে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং কালক্ষেপণ বন্ধ করে দায়ীদের বিচার, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধন করার দাবি জানিয়ে বলেন, লোভের বলি হয়ে মানুষগুলো রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকে অঙ্গ হারিয়ে কর্মহীন হয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। এতিম হয়ে পড়েছে অনেক শিশু। এই এতিম সন্তানদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা চিকিৎসার অভাবে এখনো কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

ধসে পড়া ভবনের জায়গায় শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ব্যবহারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর ৯বছর পার হয়ে গেছে। জমিটি সরকারের অনুকূলে নেওয়া হলেও দীর্ঘদিন সেটি খালি পড়ে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি হয়নি, বিচার প্রক্রিয়া চলছে ধীর গতিতে, আইএলও কনভেনশন ১২১ এর আলোকে ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধনে দেশের শ্রমিক আন্দোলনের ঐক্যবদ্ধ দাবি উপেক্ষিত হয়েছে।তারা আরো বলেন, দুর্ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে নিহত ব্যক্তিদের আত্মা শান্তি পাবে না।

রানাসহ সব দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, আজকের এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার জায়গাটুকু ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত। সবাই বলে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত অর্থে শ্রমিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। যা দেওয়া হয়েছে তা হচ্ছে অনুদান। তাই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।নেতৃদ্বয় বলেন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অবহেলা, বিচারহীনতা এবং দুর্ঘটনার দায় থেকে মালিককে দায়মুক্তি দেওয়ার নীতির কারণে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের মৃত্যুর মতো অমানবিক ঘটনা অব্যাহত আছে।তারা নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে দায়িত্ব অবহেলাকারীদের শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *