গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সবিধান জাত-পাত, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করলেও জাত-পাত ও পেশাগত পরিচয়ের কারণে বাংলাদেশের প্রায় ৬৫ লক্ষ দলিত জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত নানাবিধ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগে এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ ও আইন কমিশন বাংলাদেশ এর নেতৃত্বে ২০১৪ সালে বৈষম্য বিলোপ আইন-এর একটি খসড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে দাখিল করা হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ এই আইনটি পাশের
প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে রয়েছে। অথচ এই আইন-এর প্রয়োগ ব্যতিত দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি চলমান বৈষম্য নিরসন অনেকটাই কঠিন।
বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) ও মানবাধিকার সংগঠন নাগরিক উদ্যোগের যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস-২০২২ উপলক্ষে আজ ২১ মার্চ, ২০২২ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা আইন কমিশন সুপারিশকৃত ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ অবিলম্বে প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া সারা দেশে বিডিইআরএম
আয়োজিত ৫০টি জেলা ও উপজেলায় একই দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিতব্য মানববন্ধনে বিডিইআরএম সাংগঠনিক সম্পাদক ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু বলেন, দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর
মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে আইন কমিশন প্রস্তাবিত বৈষম্য বিলোপ আইনটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সরকারের কাছে প্রস্তাবিত আইনটি দ্রæত প্রণয়নের জন্য জোর দাবি জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলিত নেতা তামান্না সিং বাড়াইক, সরস্বতি দাস দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।