নিজস্ব প্রতিনিধি ঃভাষা দিবসে আমরা বাংলাদেশের সকল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি শহীদ নূর হোসেন দিবসে জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ ড. মিলন দিবসে মিলন চত্বরে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ যেখানে দিয়েছিল সেখানে কোন কর্মসূচি জাতীয়ভাবে থাকে না।
এর কারণে সাধারণ মানুষ এই কালজয়ী ভাষণের ৫০ বছর শেষ হলেও আজও সেখানে তেমন কোন কর্মসূচি পালন করা হয়না। এবারও প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে প্রথম প্রহরে গত ৫ বছর যাবৎ শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আবুল কালাম আজাদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন। এবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী দেলোয়ার হোসেন, আতাউর রহমান, মোঃ জুয়েল, বেগম রোকেয়া, ফাতেমা বেগমসহ প্রমুখ। এসময় জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক কালজয়ী ভাষণের ঐতিহাসিক স্মৃতিচারণ যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু না হয় তাহলে এর স্বার্থকতা কোথায়।
আজ থেকে ৫১ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বক্তব্য রাখছিলেন তখন এদেশের কৃষক শ্রমিক জনতা, নারী-পুরুষ পেশাজীবী সবাই এক কাতারে এসে গিয়েছিলেন। স্লোগান ছিল একটি মুক্তির স্লোগান, স্বাধীনতার স্লোগন, লাল-সবুজের পতাকা সৃষ্টির স্লোগান, একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান।আজকে আমরা সেখান থেকে অনেক পিছনে আছি। নতুন প্রজন্ম ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দীর সেই কালজয়ী ইতিহাসের কথা ভুলতে বসেছে। তাই আমরা অনুরোধ করবো আগামী যে কোন ৭ই মার্চের অনুষ্ঠান যেন সোরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়। এসময় শিখা চিরন্তনের সামনে নেতৃবৃন্দ দেশপ্রেমের শপথ গ্রহণ করেন