মুহাম্মদ আলী মিঠুলঃ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ও বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে নারীর ক্ষমতায়ন ও বর্তমান সরকারশীর্ষক আলোচনা সভা, ০৭-০৩-২০২২ইং, রােজ সােমবার, বিকেল ৫.৩০ মিঃ, পল্টন টাওয়ার ৪র্থ তলা ইকোনােমিক রিপাের্টার্স ফোরাম মিলনায়তন। 
বক্তব্যে বলেনঃনির্মলেন্দু গুণ কবিতায় বলেছেন, ‘কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠবাণী? গণসূর্যে মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর- কবিতাখানি।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিমশাল যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল যার সামনে টিকতে পারেনি হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। জাতির জনকের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন জাতির জনক। তিনি একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন
প্রধান আলােচকঃ ডক্টর শেখ মো. রেজাউল ইসলাম তাঁর আলোচনায় বলেন।পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রসমাজ যখন আক্রমণাত্মক কর্মসূচি ঘোষণার পক্ষে তখন বঙ্গবন্ধু সারা দেশব্যাপী ধর্মঘট এবং অহিংস ও শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানান। ভাষণের সার্বিক বিষয় ও উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন চিন্তামগ্ন তখন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বলেছিলেন, ‘সামনে তোমার বাঁশের লাঠি, জনগণ আর পেছনে বন্দুক। এই মানুষদের তোমাকে বাঁচাতেও হবে। তুমি যা বিশ্বাস করো, সেই বিশ্বাস থেকেই আগামীকাল বক্তৃতা করবে।’ কারণ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক পটভূমিতে বাংলাদেশের সংগ্রাম কোনোরূপ ধারণ করবে, এটা কি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত হবে, নাকি স্বাধীনতাকামী মুক্তি আন্দোলনের মহিমা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে, সেটা নির্ভর করছিল ৭ মার্চের ভাষণের দিকনির্দেশনার ওপর। বঙ্গবন্ধু খুব সতর্কতার সঙ্গে বক্তৃতার মাঝখানে চারটি শর্ত আরোপ করে দিলেন। মার্শাল ল’ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত নেয়া, নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা। এ ৪টি শর্ত দিয়ে একদিকে অলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখলেন অপরদিকে বক্তৃতা শেষ করলেন এই কথা বলে যে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তিনি পপ্রকারান্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেন।

বাংলার বীর ফাউন্ডেশন ও সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম. হারুন অর রশিদ, বীর প্রতীক (অবঃ) এবং সাবেক সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রদূত। উদ্বােধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এডভােকেট আবুল হাশেম, ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। প্রধান আলােচকঃ ডক্টর শেখ মো. রেজাউল ইসলামঅতিরিক্ত সচিব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।বিশেষ অতিথিঃ অধ্যক্ষ ডক্টর গােলসান আরা বেগম,উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। 
আরো বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিং-১০ গফরগাঁও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, মােঃ জহিরুল আলম লিটন। উক্ত অনুষ্ঠানেসভাপতি ও  মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু রাজনীতি চর্চা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বরেণ্য বুদ্ধিজিবী অধ্যাপক ডক্টর জিনবােধি ভিক্ষু,সাবেক চেয়ারম্যান পালি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।সভাপতিত্ব করেন, মােঃ গােলাম ফারুক অধ্যক্ষ মনােহরদী সরকারি কলেজ ও উপদেষ্টা বাংলার বীর ফাউন্ডেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *