নিজস্ব প্রতিনিধি:আজ ২ মার্চ’২২ সকাল ১১ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও তেল-গ্যাস এবং ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণফোরাম সভাপতি জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু’র সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন- নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ বাজারে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা লুটপাট, দুর্নীতি, জনগণের পকেটের পয়সা আত্মসাৎ করায় ব্যস্ত। আপনি বলেছেন আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাকে বিশ্বাস করুন আমি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমার সরকারের অধীনে দিবো যা দেশ ও জাতির কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। হ্যাঁ আমরা দেখেছি এমন উদাহরণ আপনি সৃষ্টি করেছেন দিনের ভোট রাতে নিয়ে বিশ^দরবারে বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন।
আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা এর খড়গ এনে দিয়েছেন এগুলোতো অবশ্যই উদাহরণ। তবে ভালোর নয় মন্দের উদাহরণ এবং যুগে যুগে যারা এই উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আমরা গণফোরামের পক্ষথেকে বলতে চাই আমাদের দলীয় স্বার্থে নয় দেশের স্বার্থে একটা জাতীয় নিরপেক্ষ্য নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে আমরা আগামীতে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো এবং সেখানে দুর্নীতির সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের পরিহার করে তরুণ সমাজের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশপ্রেমিক পরিচ্ছন্ন স্বচ্ছ নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত এই বাংলাদেশের পূনর্জাগরণ করি এই হোক আজকের বিক্ষোভ সমাবেশের অঙ্গিকার।গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন- দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এই অবৈধ সরকারের কোন চিন্তাই নেই কারণ তারা জনগণ নিয়ে ভাবে না। জনজীবনের মান নিয়ন্ত্রণে তাদের কোন উদ্যোগ নেই। জনতার উপর তাদের কোন দায়বদ্ধতাও নেই কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা নির্বাচিত রাতের ভোটে। একটি প্রতারণার মধ্যদিয়ে আমরা সাধারণ জনগণ আমাদের ভোটাধিকার হারানোর মাধ্যমে এই দুঃশাসনের কবলে পড়েছি। অযোগ্য লোককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। আপনাদেরকে বলছি জনগণকে নিয়ে আর খেলবেন না পরিণতি খুবই ভয়ংকর হবে। পূর্বের স্বৈরাচারদের পতন কিভাবে হয়েছিলো তা দেখে শিক্ষা নিন। আমরা আপনাদের থেকে কিছুই আশা করি না শুধু একটাই চাওয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এদেশের জনগণকে মুক্তি দিন। নইলে জনতা আপনাদেরকে অবৈধ সিংহাসন থেকে টেনে হিচড়ে নামাবে হুশিয়ার সাবধান, হুশিয়ার সাবধান, হুশিয়ার সাবধান।
আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এ.কে.এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসীন রশিদ, সভাপতি পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন এর আহবায়ক হাবিবুর রহমান বুলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহবায়ক এম.এ. কাদের মার্শাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, শেখ শহিদুল ইসলাম সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণফোরাম সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) রওশন ইয়াজদানী।উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, জান্নাতুল মাওয়া, মশিউর রহমান বাবুল, নকিব আহমেদ, মাহফুজুর রহমান মাসুম, ইসমাইল সম্রাট, এশেক আলী আশিক, রিয়াদ হোসেন, আনোয়ার ইব্রাহীম সহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিন, ছাত্র ফোরাম, যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে গণফোরাম মিছল নিয়ে শহীদ মিনার অভিমুখে যাত্রা করে। মিছিলের – স্লোগান ছিলো ন্যায্যমূল্যে চাল-ডাল ও তেল দে নইলে গদি ছাইড়া দে। দ্রব্যমূল্যের লুটেরা সিন্ডিকেট ভাঙ্গো, নয়তো এই অবৈধ সংসদ ভেঙ্গে দাও। গ্যাস ও ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধি মানেনা জনগণ। মন্ত্রীরা সব করে কি খায় দায় ঘুমায় নাকি!!!কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে মিছিলের সমাপ্তি হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।