পাটের তৈরী সোনালি বায়ো পলিব্যাগের ব্যবসায়িক প্রচার ও প্রসারে সরকারি-বেসরকারি সহযেগিতা কামনা

0
73

মুক্তিযুদ্ধ ৭১ নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকা থেকে গত ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত আটটায় বাংলাদেশের ;সোনালী ব্যাগ্য়ঁড়ঃ; বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় এর গুরত্ব ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা শীর্ষক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল সেমিনারে যুক্ত হয়ে পাটের তৈরি সোনালী ব্যাগের উদ্ভাবক প্রফেসর ড. মোবারক আহমেদ খান বলেন, পাটের সূ² সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা এ পলিব্যাগ। পাটের এ পলিব্যাগ প্রধানমন্ত্রী ও পাট মন্ত্রীর সহায়তায় এটি তৈরী করা হচ্ছে। নিশ্চিত যে পাটের এ সোনালি ব্যাগ
পরিবেশ বান্ধব। এ ব্যাগ তৈরীর যে মেশিনারিজ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। প্রচলিত যে প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরী মাইক্রো প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়, পাট থেকে এ সোনালি ব্যাগ তৈরীতে তা ব্যবহৃত হয় না। বায়ো পলিমার প্রযুক্তিতে সোনালি ব্যাগ তৈরী হয়। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান বলেন, পাটের তৈরী সোনালি ব্যাগে যে সেলুলোজ থাকে তাতে এটি পেটে গেলে কোনো ক্ষতি নেই। তাহলে এটি ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে গো-খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট রওশন স্মিতা বলেন, পাট থেকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরীকৃত
পলিথিন ব্যাগ পরিবেশ বান্ধব। তবে বাংলাদেশে এটি প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি করতে হলে মার্কেটিংয়ের ওপর
জোর দিতে হবে। বাজারে যে পলিব্যাগ পাওয়া যায় তা বহুল প্রচারিত ও ব্যবহৃত, দামেও কম। পাটের পলিব্যাগ
বাজারে সহজলভ্য নয়, প্রচলিত পলিব্যাগের চেয়ে দামও বেশি। মার্কেটিংয়ের ওপর জোর দিলেও দেশে এর
প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি পেতো।বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনের পরিচালক, ইশরাত জাহান চৌধুরী বলেন, পাট থেকে পলিব্যাগ তৈরীর কার্যক্রমটি এখনও পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। বিদেশে এ বায়ো পলিব্যাগের চাহিদা রয়েছে।
আমাদের দেশের বায়ো পলিব্যাগের উৎপাদন বাড়ালে বিদেশের চাহিদা পূরণ করতে পারি। আমরা যদি গুরুত্ব
দিয়ে বায়ো পলিব্যাগ তৈরীতে আরো অগ্রসর হই তাহলে তো এটি দেশের ভবিষ্যত পরিবর্তনের একটি
মাধ্যম হতে পারে। বায়ো পলিব্যাগ বাণিজ্যিক ভাবে রপ্তানি করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
লন্ডন শিল্পকলা একাডেমী, যুক্তরাজ্য শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মানবতার জন্য মানুষ সংগঠনের পরিচালক
ডাঃ সম্পা দেওয়ান বলেন, আমরা সবাই পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে চিন্তিত। পাটের তৈরী এ পলিব্যাগ পরিবেশ
বান্ধব। পাট থেকে বায়ো প্রযুক্তিতে চমকপ্রদ পলিব্যাগ তৈরী করায় মোবারক স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ
জানাই।কানাডা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আব্দুল গফফার বলেন, পাটের তৈরীর এ বায়ো
পলিব্যাগ ব্যবসায়িকভাবে এখনো এগিয়ে যেতে পারেনি। এ পণ্যটিকে ব্যবসায়িকভাবে এগিয়ে নিতে
হলে এর উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সেই সাথে আরো উন্নত প্রযুক্তির মেশিনারিজ যুক্ত করতে
প্রয়োজনে বিদেশি সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।

ভার্চুয়াল সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নুরুন নবী
বলেন, পাট থেকে বায়ো পলিব্যাগ উদ্ভাবনী কাজের জন্য মোবারক স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বে এগিয়ে যেতে এ বায়ো পলিব্যাগ বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরী হয়েছে।
দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে বায়ো পলিব্যাগের প্রচার ও প্রসারের জন্য অতি দ্রæততার সাথে সরকারি-
বেসরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে। তা না হলে এতো বড় একটি বায়ো প্রযুক্তিতে
পলিব্যাগ আবিষ্কারের কার্যক্রম থমকে গিয়ে আমরা হেরে যেতে পারি।ভার্চুয়াল সেমিনারে অষ্ট্রেলিয়া থেকে যুক্ত হয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশবিদ কামরুল আহসান খান। আয়োজক- ফোজিত শেখ বাবু আলোকচিত্রশিল্পী। সৌজন্যে- যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ,কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদ। ভার্চুয়ালি স¤প্রচারে ছিলো মুক্তিযুদ্ধ৭১টিভি ইউটুব চ্যানেল ও ফোজিত শেখ বাবু ফটোগ্রাফি ফেসবুক পেইজ ভার্চুয়াল সেমিনারে যুক্তরাষ্ট থেকে যুক্ত ছিলেন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বেলাল বেগ, সাংবাদিক শওকত হোসেন, কবি-সাংবাদিক মেহেরুননিসা নায়না ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

ইন্ধিসঢ়;জনিয়ার সৈয়দ আব্দুল গফফার সহ-সভাপতি- কানাডা আওয়ামী লীগ।মিজানুর রহমান সরকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফ্রান্স।মো. রোকনুজ্জামান পরিবেশাদি কানাডা।কৃষিবিদ লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল, সভাপতি- বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (কৃষি) ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ।ইশরাত জাহান চৌধুরী, নারী উদ্দোগতা, পরিচালক, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার এসোসিয়েশন।রওশন স্মিতা, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, সদস্য সচিব, যুব বাপা পি.সি।ডাঃ সম্পা দেওয়ান, পরিচালক- মানবতার জন্য মানুষ, লন্ডন শিল্পকলা একাডেমী, যুক্তরাজ্য শিল্পী ওসাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।অনুষ্ঠান পরিচালনায়- এ এফ এম ইসমাইল চৌধুরী, গবেষক, মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও চেয়ারম্যান,ইন্টারন্যাশনাল পিস এন্ড সলিডারিটি ফাউন্ডেশন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে