হৃদয় বৈরাগী :-অদ্য সকাল ১০ ঘটিকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটর সাগর রুনি হলে ৯০’ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যে’র নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ৯০’ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দস সাত্তার খান-এর শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।শোখ সভায় সভাপতিত্ব করেন নাজমুল হক প্রধান – সভাপতি জাসদ ছাত্রলীগ,উপস্থাপনায় সালে আহমেদ যুগ্ন আহবায়ক ছাত্র সমিতি, শোক প্রস্তাব মুখলেস উদ্দিন শাহীন আহবায়ক বিপ্লবী ছাত্র সংঙ্গ,সংক্ষিপ্ত জীবনী সিরাজুর মুনির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাত্র মৈত্রী, মনসুরুল হাই সোহান সভাপতি জাতীয় ছাত্রদল,বেলাল চৌধুরী সভাপতি সমাজ তান্ত্রীক ছাত্রফ্রন্ট,শাফি আহমেদ সাধারন সম্পাদক জাসদ ছাত্রলীগ,রাজু আহমেদ সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রদল কেন্দ্র, জায়েদ ইকবাল সাধারন ছাত্র ঐক্য ফোরাম আরো অনেকে।এরশাদ সামরিক স্বৈরাচার বিরােধী ছাত্র গণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে গড়ে ওঠা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা,

তৎকালীন বাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আব্দুস সাত্তার খান ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় ভাের ৬ টা ৫২ মিনিটে কানাডার সাস্কাচুয়ান প্রদেশের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাঁর প্রতি জানাই আমাদের লাল সালাম ও গভীর শ্রদ্ধা)। সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরােধি আন্দোলন যখন প্রায় তুঙ্গে তখন ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের একটি মিছিলের উপর ফুলবাড়িয়াতে এরশাদ সরকারের পুলিশ ট্রাক তুলে দেয়। যাতে ছাত্রনেতা সেলিম-দেলােয়ারদের মৃত্যু হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে কতােজন মারা গিয়েছিলেন তা জানা ছিলাে না। প্রাণভয়ে অনেকেই নানা দিকে দৌড়ে চলে যান। আর যারা ট্রাক চাপায় আহত হয়েছিলেন তারা রাস্তার পাশে লাশ হয়ে কিংবা লাশের মতাে শুয়ে ছিলেন। পুলিশ এদেরকে চ্যাঙদোলা করে ট্রাকে তুলে। নিয়ে চলে যায়।সেই ট্রাকের মধ্যে থাকা পুলিশ সদস্য মৃতপ্রায় সাত্তার খানকে দেখে চিনতে পারেন, কারণ।

সাত্তার খান ছিলেন তারই এলাকার মানুষ ছিলেন। তিনি খেয়াল করেন সাত্তার খানের নি: শ্বাস উঠছে পড়ছে। তারই চেষ্টায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সাত্তার খানের চিকিৎসা চলে। জীবন-মৃত্যুর সাথে দীর্ঘদিন লড়াই করে অবশেষে সাত্তার খান বেঁচে উঠেন।সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন এবং নতুন উদ্যমে এরশাদ সামরিক স্বৈরাচার বিরােধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখেন। ১৯৯০ সালে খুনী এরশাদের পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা জেহাদের মৃত্যুর পরে গড়ে উঠে ১৯৯০ এর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে ঘরে ফেরার শপথ নিয়ে গড়ে ওঠা সেই সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আন্দোলনের সাথে শ্রেণী-পেশার আন্দোলন যুক্ত হয়ে সংঘটিত হয় ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান। পতন হয় সামরিক স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের।এই সংগ্রাম সফলে আবদুস সাত্তার খান ছিলেন একজন একনিষ্ঠ নেতা ও কর্মী। আবদুস সাত্তার খান লাল সালাম! তার মহা প্রয়ানে দেশবাসী একজন দেশপ্রেমিক, সাহসী যােদ্ধাকে হারালাে, আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শােক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *